বাত ব্যাথা বা বাতরোগ কী?
বাতব্যাথা হচ্ছে এমন এক ধরণের ব্যাথা যাতে সাধারণত জয়েন্ট, পেশী এবং হাড় আক্রান্ত হয়। এতে আক্রান্ত স্থানে ব্যথা এবং আড়ষ্টতা বা শক্ত ভাব দেখা যায়। ব্যথা হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে এবং আক্রান্ত স্থানের চারপাশে ফোলা, লালভাব এবং উষ্ণতা পরিলক্ষিত হতে পারে।
বাতজনিত ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং সাধারণ অস্বস্তির অনুভূতি অনুভব করতে পারেন। ব্যথা একটানা বা হ্রাস বৃদ্ধি যুক্ত হতে পারে, এবং এটি সকালে বা নিষ্ক্রিয় থাকার পরে আরও খারাপ হতে পারে।
বাত ব্যাথা বা বাতরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কী?
এলোপ্যাথিতে সাধারণত এন্টিবায়োটিক পেইনকিলার প্রভৃতি ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। তবে হোমিওপ্যাথিতে এর সুন্দর চিকিৎসা রয়েছে।
অনেক সময় দেখা যায় Antim crud, arsenic album, medorrhinum, dulcamara, rhus tox, rhododendron, merc-sol প্রভৃতি ঔষধ গুলো অধিক মাত্রায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা এভাবে রোগ ভিত্তিক চিকিৎসা করেন না। তারা রোগীর যাবতীয় শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণ সংগ্রহ করে তার ওপর ভিত্তি করে একটি সিমিলিমাম ঔষধ নির্বাচন করেন। আর সেই ঔষধটি হোমিওপ্যাথিক বাক্সের যে কোন ঔষধই হতে পারে। অর্থাৎ লক্ষণ সাদৃশ্য হলে হোমিওপ্যাথিক বাক্সের যে কোন ঔষধই বাত রোগের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।
আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে, হোমিওপ্যাথিতে নির্দিষ্ট রোগের বিপরীতে কোন নির্দিষ্ট ঔষধ বা ঔষধের গ্রুপ হতে পারে না। রোগীর শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণসমূহই বলবে তার জন্য কোন ঔষধ দরকার।
আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে, হোমিওপ্যাথিতে নির্দিষ্ট রোগের বিপরীতে কোন নির্দিষ্ট ঔষধ বা ঔষধের গ্রুপ হতে পারে না। রোগীর শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণসমূহই বলবে তার জন্য কোন ঔষধ দরকার।