একজন প্রশ্ন করেছেন-
“স্যার, ১ ডোজে কত ফোঁটা ঔষাধ দিতে হয়? আর সাধারন পানির সাথে ঔষাধ মিশিয়ে ডোজ তৈরী করা যাবে নাকি অন্য পানি দিতে হবে? দয়া করে যদি একটু বলতেন তাহলে খুব উপকার হতো স্যার।”
ডোজ (Dose) কাকে বলে?
ডোজ (Dose) শব্দের অর্থ হচ্ছে মাত্রা বা পরিমাণ। মেডিকেলের পরিভাষায় ডোজ হচ্ছে একবারে একটা রোগীকে যতটা ঔষধ প্রয়োগ করা হবে তার পরিমান।
তাহলে এখন আপনিই বলুন একটা রোগীতে কতটুকু ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে এটা কি আগে ভাগেই নিশ্চিত করে বলে রাখা সম্ভব? প্রত্যেক রোগীই কি সমান? একটা ৩০ বছরের যুবক যতটা ঔষধ সহ্য করতে পারবে তিন মাসের একটি বাচ্চা বা ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধ কি ততটা ওষুধ সহ্য করতে পারবে? আবার একজন স্বাস্থ্যবান সুঠাম দেহের অধিকারী ব্যক্তি যতটা ঔষধ গ্রহণ করতে পারবে একজন রোগা পাতলা দুর্বল রোগী কি সেই পরিমাণে ঔষধের ধকল সামলাতে পারবে?
কাজেই ঔষধের ডোজ বা মাত্রা কতটা হবে সেটা নির্ধারণ করার জন্য একজন চিকিৎসককে তার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা দুটোকেই কাজে লাগাতে হবে। কয়েকটা ফ্যাক্টর বা বিষয়ের উপর খুব সতর্কতার সাথে খেয়াল করতে হবে। যেমন-
১। রোগীর বয়স,২। রোগের গভীরতা,
৩। রোগীর জীবনীশক্তি,
৪। ঔষধের প্রতি রোগীর সংবেদনশীলতা, ইত্যাদি।
সাধারণ পানিতে কি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুত করা যায়?
দেখুন, ঔষধ যদি তাৎক্ষণিকভাবে খাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয় তাহলে সেটাকে যে কোন সাধারণ পানিতে প্রস্তুত করে খাওয়া যায়। কিন্তু ঔষধ যদি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখতে হবে বা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে হবে এমন উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয় তাহলে হোমিওপ্যাথিক রুল অনুযায়ী ডিস্টিল্ড ওয়াটার (Distilled water) বা পাতিত পানিতে ওষুধ প্রস্তুত করা উচিৎ।
ডিস্টিল্ড ওয়াটার (Distilled water) বা পাতিত পানি পাওয়া না গেলে আপনি মিনারেল ওয়াটারও ব্যাবহার করতে পারেন।