ইরেক্টাইল ডিসফাংশন কী?
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলতে সেই পরিস্থিতিকে বোঝায় যখন কোনও পুরুষের লিঙ্গ দৃঢ় উত্থান বা উত্থান পেতে অসুবিধা হয়, যা যৌন মিলনের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন একজন পুরুষের মধ্যে নপুংসকতার কারণ হতে পারে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আমরা কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দিয়ে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসা করতে পারি। কিন্তু তার আগে আমাদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সঠিক কারণ বুঝতে হবে যাতে সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা যায়।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারণঃ
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে-
রক্ত প্রবাহে সমস্যা, সঠিক হরমোন নিঃসরণ এবং শরীরে স্নায়বিক গোলযোগ ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটাতে পারে।
স্নায়বিক কারণগুলির পাশাপাশি ভাস্কুলার কারণগুলির কারণেও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটে।
এথেরোস্ক্লেরোসিস এমন একটি রোগ যা প্রায়শই ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটায়। এই রোগটি সাধারণত ধূমপান এবং ডায়াবেটিসের কারণে হয়। এতে লিঙ্গের ধমনীগুলি সংকীর্ণ এবং আটকে যায় এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটে।
ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট নিউরোপ্যাথি, যা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিত, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন-এর একটি প্রাথমিক স্নায়বিক কারণ।
শ্রোণী অঞ্চলের চারপাশে অস্ত্রোপচারের কারণে স্নায়ুর ক্ষতিও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ সমগ্র ভাস্কুলার সিস্টেমের ধমনীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হয় এবং সঠিক উত্থান বাঁধাগ্রস্থ হয়, যা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনকে নির্দেশ করে।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের মনস্তাত্ত্বিক কারণঃ
বিষণ্ণতা একজন ব্যক্তিকে যৌন সম্পর্কে অনাগ্রহী করে তোলে এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটাতে পারে।
প্রচুর পরিমাণে চাপ, ভয়, উত্তেজনা বা উদ্বেগও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটাতে পারে।
অনেক পুরুষ নিজের যৌনক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ এবং যৌন ব্যর্থতার অনুভূতিতে ভুগছেন। এর ফলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে।
সঙ্গীর সাথে মানসিক বোঝাপড়ার অভাব বা যৌনতা সম্পর্কে যৌন সঙ্গীর অদম্য চাপও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন সৃষ্টি করতে পারে।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণঃ
শুধু মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাই নয়, কখনও কখনও শারীরিক সমস্যাও নপুংসকতার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন সমস্যার কিছু শারীরিক কারণ নীচে দেওয়া হলঃ
উচ্চ কোলেস্টেরল এবং স্থূলতা।
পার্কিনসন রোগ এবং একাধিক ক্ষেত্রে স্ক্লেরোসিস।
ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার।
লিঙ্গের কাঠামোতে ব্যাধি।
অস্ত্রোপচারের জটিলতা।
গনোরিয়া, সিফিলিস প্রভৃতি যৌনব্যাধি।
বেশ কয়েকটি নির্ধারিত ওষুধ প্রতিক্রিয়া এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটাতে পারে।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের লক্ষণঃ
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এর লক্ষণ হিসেবে আলাদা করে বলার কিছু আছে বলে মনে হয় না। এর একটাই লক্ষণ লিঙ্গ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে উত্থান না হওয়া।
নপুংসকতা বা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের হোমিওপ্যাথিক চিকিতসাঃ
ইরেক্টাইল ডিসফাংশানের জন্য প্রচলিত যে কোন চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অধিক কার্যকরী। কারণ এতে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে।
Agnus Castus, Acid-Phos, selenium, Caladium, Lycopodium, Nuphar Luteum, Nux vomica, Calcarea Carb প্রভৃতি হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলো পুরুষদের মধ্যে নপুংসকতা বা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিত্সার জন্য সচারচার ব্যবহৃত হয়। তবে আসল কথা হচ্ছে রোগীর শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণের সাথে মিললে হোমিওপ্যাথিক বাক্সের যে কোন ঔষধই ইরেক্টটাইল ডিসফাংশন সহ যাবতীয় যৌন রোগের জন্য সফলভাবে ব্যবহৃত হতে পারে।