গর্ভাবস্থা একজন মহিলার শরীরের একটি প্রধান শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা আপনার শরীর এবং ইমিউন সিস্টেম উভয়ের উপর চাপের মাত্রা বাড়ায়। হোমিওপ্যাথি হল সবচেয়ে আদর্শ চিকিৎসা ব্যাবস্থা যা আপনার গর্ভাবস্থার নানান উপসর্গ এবং জটিলতা মোকাবেলা করতে সক্ষম।
হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা গর্ভাবস্থার গুরুতর সব উপসর্গেরর চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মর্নিং সিকনেস, বিবমিষা ও বমি, মাথাব্যথা, হজমজনিত অসুস্থতা, পেশী ব্যথা এবং অন্যান্য অস্বস্তি।
গর্ভাবস্থায় হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ; কারণ-
১। এটি ডাইলিউশন এর মাধ্যমে খুবই সূক্ষ্ম করে প্রস্তুত করা হয় যাতে মেডিসিনাল সাবস্ট্যান্স খুবই অল্প মাত্রায় থাকে। ফলে এটা সাধারণত উগ্র নয়।
২। হোমিওপ্যাথি বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে এবং ওষুধগুলি নির্দিষ্ট লক্ষণাবলির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। এবং অন্য কোন প্রচলিত পদ্ধতির মত হোমিওপ্যাথির কোন ঔষধই এযাবৎ উগ্র বলে বিবেচিত ও পরিত্যাক্ত হয়নি।
৩। এতে একই ওষুধের সর্বনিম্ন শক্তি থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে উচ্চশক্তির ঔষধ প্রস্তুত করা হয়েছে, ফলে রোগীর জীবনী শক্তির উপর ভিত্তি করে নির্বাচিত ঔষধের সহনশীল শক্তি প্রদান করা যায়।
৪। সুনির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এগুলো প্রয়োজনে প্রচলিত ওষুধের সাথেও গ্রহণ করা যেতে পারে।
৫। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কোন রোগ বা উপসর্গ সাপ্রেশান হয় না। কাজেই এতে রোগ সমূলে বিনাশ হয়।
৬। এটি শরীরকে সুস্থ করার জন্য প্রাকৃতিক ইমিউন সিস্টেমের সাথে কাজ করে।
৭। গর্ভাবস্থায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করা আপনার সন্তানকেও উপকৃত করবে, কারণ এটা পুরো সিস্টেমকে উন্নত করতে কাজ করে।
সারকথা হল অন্যান্য প্রচলিত ওষুধের সাথে তুলনা করলে, হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি আসক্তিহীন, তাই এটি গর্ভাবতী সহ যেকোন রোগীর জন্যই নিরাপদ।